বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২৪ অপরাহ্ন

তানোরে দারোগার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

তানোরে দারোগার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজশাহীর তানোরে পুলিশের এসআই (দারোগা) এর বিরুদ্ধে জোরপুর্বক
জমিদখলের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) মাদারীপুর মাঠে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে,উঠেছে সমালোচনার ঝড়।

এ ঘটনায় ইউপির ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা, আমেরিকা প্রবাসী ও আহম্মেদ চ্যারিটি সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা আহম্মদ হোসেন বাদি হয়ে রাজশাহী পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

সারাদেশে যখন পুলিশ বাহিনীর ভঙ্গুর মনোবল ফিরিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তখন পুলিশের এই দারোগার এমন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলেন, দিনমজুর পরিবারের সন্তান মতিউর রহমান লিটন পুলিশের এসআই হবার পর আলাদীনের চেরাগ হাতে পেয়েছেন। তার আয়-ব্যয় ও সম্পদের অনুসন্ধান দাবি করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি রাজশাহীর চারঘাট কর্মরত রয়েছেন।
একাধিক গ্রামবাসী বলেন, এক বিঘা আলু চাষে এবার প্রায় এক লাখ টাকা খরচ।অথচ পুলিশের একজন দারোগা হয়ে তিনি প্রায় দুশ’ বিঘা জমিতে আলু চাষ করছেন। এতো বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস্য অনুসন্ধান হওয়া প্রয়োজন। কারণ তিনি কত সম্পদ ও টাকার মালিক, সরকারকে কত টাকা আয়কর দেন, এতো টাকা অর্জন করলেন কোন পথে ইত্যাদি অনুসন্ধান প্রয়োজন।
 এদিকে আহম্মেদ আলীর লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, আমার নিজ নামীয় পৈত্রিক সম্পত্তি আলু চাষে ভাড়া প্রদান করার জন্য মাদারীপুর বাজারে সাইনবোর্ড স্থাপন করে চার জন ব্যাক্তির ফোন নম্বার প্রদান করেছি।কিন্ত্ত আমি বা আমার কোনো প্রতিনিধির সঙ্গে কোনরুপ আলাপ আলোচনা না করেই মতিউর রহমান লিটন পুলিশের এসআই
জোরপুর্বক আমার জমিতে আলু চাষ করছে। তিনি নিজ এলাকায় চাকরির সুবাদে পুলিশ পরিচয়ে শত শত বিঘার জমি চাষের ব্যাবসা শুরু করেছেন এবং নিজ ইচ্ছামত রেটে কৃষকদের জমি দিতে বাধ্য করছেন। অনুগ্রহ পূর্বক আমার জমি পুলিশ সদস্যের অবৈধ দখল মুক্ত এবং তার অপেশাদার আচরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনে আপনার একন্তু মর্জি হয়। এবিষয়ে জানতে চাইলে মতিউর রহমান লিটন সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আহম্মদ হোসেন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, তারা কয়েকজন মিলে মাদারীপুর মাঠে প্রায় ১৬০ বিঘা আলু চাষ করছেন,তিনি বলেন,জমি ইজারার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নাই, এটা গভীর নলকুপের অপারেটরেরা দেখভাল করেন। তিনি বলেন,তার বিরুদ্ধে মানহানীর মামলা করবো, তিনি আমার কর্মকর্তার কাছে আসুক তাকে দেখা হবে।
এবিষয়ে আহম্মদ হোসেন বলেন, লিটন পুলিশের দাপট দেখিয়ে কমদামে জমি দিতে কৃষককে বাধ্য করেন। তিনি বলেন, সে বেতন পায় কত এতো অল্প সময়ের মধ্যে সে এতো টাকার মালিক হলেন কি ভাবে এবং সরকারি চাকরি করা অবস্থায় বানিজ্যিকভাবে আলু চাষ করেন কি ভাবে,তিনি জমি উদ্ধার ও এসবের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন।

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




Copyright @ 2024 Jonotarsomoy24.com । জনতার সময়২৪. All rights reserved

ডিজাইন ও তৈরী করেছেন- হাবিবুর রহমান নীল